মন খারাপ থাকলে বা ডিপ্ররেশনে থাকলে অনেকে গান শুনেন বা গেয়ে মনকে চাঙ্গা করে তুলেন।আসলে গান জর্জরিত মনকে আরো কলুষিত করে দেয়।
ইবরাহিম রাহঃ থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ বলেছেন, “গান বাজনা অন্তরে অশ্লীলতা বাড়িয়ে দেয়।”
গান শোনা,শেখা, শোনানো, শেখানো উভয়ের উপর আল্লাহর লানত।
আয়িশাহ রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ গান বাজনা, তার ক্রয় বিক্রয়, তার মূল্য, তার চর্চা এবং তা শ্রবণ করা সব কিছুই হারাম করেছেন।[১]
আমার রব বলেন,” কিছু মানুষ অহেতুক বেহুদা কথাবার্তা ক্রয় করে।”[২]
বিভিন্ন তাফসীরকারক গণ বলেন,অহেতুক বেহুদা কথাবার্তার মানে হল গান বাজনা।
আজকাল গান বাজনার জন্য হরেক রকমের বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন দেখা যায় । আর বাদ্যযন্ত্রের প্রসার হলে আল্লাহর আযাব আসতে থাকে।
আব্দুর রহমান বিন সাবেত রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মাঝে ধ্বংস, পাথরবৃষ্টি এবং বিকৃতকরণ শাস্তি আসবে।” সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , কবে এই আযাব আসবে?”তিনি বললেন, “যখন বাদ্যযন্ত্রের প্রসার ঘটবে আর লোকেরা মদ্যপানকে হালাল মনে করবে।”[৩]
আজকের দিনে গান গাইতে পারাকে নিয়ে আমরা খুব গর্ববোধ করি।
আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন কেউ উচ্চসরে গান ধরে,আল্লাহ্ তা য়ালা তার কাছে দুই শয়তানকে পাঠান,যারা তার দুই কাঁধে বসে গান থেকে বিরত হওয়া পর্যন্ত তার বুকে প্রহার করে থাকে।”[৪]
গান হচ্ছে যেনার রাস্তা স্বরূপ। বিভিন্ন রকমের অশ্লীলতার প্রসার ঘটে এই গান বাজনার আসরে।এই গান বাজনা হায়াত নষ্ট করে দেয়।
আবু উসমান লাইসী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ইয়াজিদ বিন ওয়ালিদ বলতেন, হে আবু উমাইয়্যারা, তোমরা গান বাজনা থেকে বিরত থাক। কারণ এগুলো হায়াত নষ্ট করে দেয় আর মনে অশ্লীলতা বাড়ায়।মানবতা-বদ্যনতা ধ্বংস করে দেয়। এই গান বাজনা মদের মতো কাজ করে। নেশা যেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এগুলোও তেমনই কাজ করে।যদি একান্ত বিরত থাকতে নাই পার ,অন্তত নারী থেকে দূরে থাক।কারণ গান বাজনা ব্যভিচারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে।
জর্জরিত মন একমাত্র আল্লাহর জিকিরে প্রশান্ত ও বিগলিত হতে পারে।
আমার রব বলেন,
“একমাত্র আল্লাহর স্মরণে অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়। “[৫]
একজন বলেছিলেন,
এক সময় গান আমার খুবি প্রিয় ছিল। তবে কখনই অশ্লীল,গান, ধুম ধারাক্কা রক গান, পপ গান এসব কখনই ভাল লাগেনি। কিছু ভাল কথার গানের মাঝে দেশের গান তো অবশ্যই ভাল লাগত। এখন নিজে থেকে গান শোনা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। বিভিন্ন স্পেশাল দিনে সেই দেশের গানগুলো ভেসে আসে। এসব গানের মাঝে আমাদের ইসলামিক বিশ্বাসের বিপরীত অনেক কথা আছে যা এখন বুঝি। এই মুহূর্তে দুটি গানের মনে পড়ছে। যেমন,যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে কি দেখেছি, বলব আমি বাংলা……
[মরণের পরের প্রশ্ন কি হবে প্রতিটি মুসলমান জানে, তবে কেন এমন কথা লিখা হল]
আরেকটি, ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, সব কটা জানালা খুলে দাও না। [ মৃত আত্মা কখনই আমাদের কাছে ফিরে আসবে না। এসব জাহেলি যুগের কিংবা মুশরিকদের বিশ্বাস]
এমন আরও অনেক গান আছে।
এখন জানা হয়েছে মিউজিকসহ গান হারাম।
মিউজিক ছাড়া গানের মাঝে যদি কথা অশ্লীল না হয়, সৃষ্টি নিয়ে গান হয়, কিংবা যে গান সৃষ্টি কর্তা, আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয় তা হারাম নয়। কিন্তু তাও যদি শুনতে গিয়ে নেশায় পরিণত হয় তা ঠিক নয়।
যা বলছিলাম দেশের গানের মাঝেও যদি খোঁজা যায় তবে কিছু শিরক পাওয়াও যাবে। যা দেশে থেকে আগে এতটা বুঝতাম না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়েছিলেন ! আর আমরা কি এভাবে করি ?
নাফে‘(রাঃ)একদা ইবনু ওমর (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেলে তিনি তাঁর দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গেলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, নাফে’ তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম, না। তিনি তার দুই আঙ্গুল দুই কান হতে বের করে বললেন, আমি একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়েছিলেন এবং আমাকে এভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন যেভাবে আজ তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম ।[৬]
অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের শব্দ যেন কানে না আসে তার সম্ভবপর চেষ্টা করতে হবে । [৭]
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’।[৮]
عَنْ أَبِيْ اُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لاَ تَبِيْعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوْهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوْهُنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ.
আবু ওমামা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম’ ।[৯]
আমরা কী ভাবে বাঁচব ? খবর শুনতে গেলে মিউজিক ! ওয়াজ শুনতে গেলে মিউজিক ! ভালো কিছু দেখবেন তারমধ্যে মিউজিক ! গানের মধ্যে মিউজিক ! বিজ্ঞাপনের মধ্যে মিউজিক ! এখন সবকিছুর মধ্যে মিউজিক ব্যবহার করা হয় ! একজন ঈমানদার কখনো মিউজিক শুনতে পারে না । আমরা যারা বাদ্যযন্ত্র শুনি , এখন থেকে তাওবা করে আর যেন না শুনি । আল্লাহ তায়ালা কে ভয় করুন । আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন ।
আসুন আমরা গান-বাজনার (Music) ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি জানি
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেন, “এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”।
আল-ওয়াহিদি (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা), অন্যান্য তাফসীরকারগণের সাথে ব্যাখ্যা করেন যে, এই আয়াতে “অবান্তর কথাবার্তা” বলতে গান সঙ্গীতকে বুঝানো হয়েছে। যেসকল সাহাবাগণ এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন তারা হলেন ইবনআব্বাস, ইবন মাসউদ, মুজাহিদ, ইকরিমা(রাদিয়াল্লাহু আনহুম)।
ইবন মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “আল্লাহর শপথ,যিনি ছাড়া আরকোন ইলাহ নেই, ‘অবান্তর কথাবার্তা’ হল গান”।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে। এবং কিছু লোক এমন হবে যারা একটিপর্বতের নিকটে অবস্থান করবে এবং সন্ধ্যাবেলায় তাদের মেষপালক তাদের নিকট মেষগুলো নিয়ে আসবে এবং তাদের নিকট কিছু চাইবে, কিন্তু তারা বলবে, ‘আগামীকাল ফেরত এসো’, রাতের বেলায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং তাদের উপর পর্বত ধ্বসিয়ে দিবেন, বাকি লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন এবংশেষ বিচারের দিন পর্যন্ত তারা এই অবস্থায় থাকবে”। [১০]
এই হাদীসে উল্লেখ হচ্ছে বাদ্যযন্ত্র হারাম, এবং উলামাগণের মধ্যে এই ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। ইবন আল-কাইয়্যিম(রাহিমুল্লাহ) তাঁর বই ইগাছাতুল লাহফান এ বলেন, “যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বৈধ মনেকরবে’, তার মানে তিনি বুঝিয়েছেন এটা অবৈধ, এরপর লোকেরা একে বৈধ বানিয়েছে ”।
আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘একদল লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন’ সাহাবাগণ আরজ করলেন, “তারা কি ‘লা~ ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’এই সাক্ষ্য প্রদান করে?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “হ্যাঁ, এবং তারা সিয়াম ও হজ্জও পালন করে”, সাহাবাগণ আরজ করলেন, “তাহলে, তাদেরসমস্যা কি ছিল?” তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তারা বাদ্যযন্ত্র,ঢোল ও নারী সঙ্গীতশিল্পী ব্যবহার করবে। (একদিন)তারা রাতভর মদপান, হাসি তামাশা করে নিদ্রা যাবে, সকালে(আল্লাহর ইচ্ছায়) তারা বানর ও শূকরে পরিণত হবে”। [ইগাছাতুল লাহফান]
আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের কাবাঘরের চারপাশের ইবাদতের কথা সমালোচনা করে বলেন, “(এ ঘরেরপাশে) তাদের (জাহেলী যুগের)নামায তো কিছু শিষ দেয়া ও তালি বাজানো ছাড়া কিছুই ছিল না”[সূরা আল আনফাল ৮-৩৫] । ইবন আব্বাস, ইবন উমর, আতিয়্যাহ, মুজাহিদ, আদ-দাহাক, আল হাসান এবং ক্বাতাদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘মু’কান’ অর্থ শিষ বাজানো, ‘তাসদিয়াহ’ অর্থ তালি বাজানো।
কুরআন মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন ,
“ তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর ” । [১১]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, এটাবলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যেগান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯
বস্তুত গান বাজনার ক্ষতিকর প্রভাব এত বেশি যে, তা নাজায়েয হওয়ার জন্য আলাদা কোনো দলীল খোঁজার প্রয়োজন পড়ে না। এতদসত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু হাদীসের মাধ্যমে তা প্রমাণিত।
গান-গায়িকা এবং এর ব্যবসাও চর্চাকে হারাম আখ্যায়িত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর নাএবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম।[১২]
বর্তমানে গান ও বাদ্যযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে যাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এর সকল উপার্জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন।-[১৩]
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, পানি যেমন (ভূমিতে)তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে।[১৪]
উপরোক্ত বাণীর সত্যতা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। গান-বাজনার ব্যাপক বিস্তারের ফলে মানুষের অন্তরে এই পরিমাণ নিফাক সৃষ্টি হয়েছে যে, সাহাবীদের ইসলামকে এ যুগে অচল মনে করা হচ্ছে এবংগান-বাদ্য, নারী-পুরুষেরমেলামেশা ইত্যাদিকে হালাল মনে করা হচ্ছে।
তবে আপনি চাইলেই সেই পরিমাণ গান শুনতে পারবেন যেই পরিমান গরম গলিত সীসা কানের ভেতর ঢুকালে আপনি সহ্য করতে পারবেন!
নিশ্চয় আপনার সহ্য ক্ষমতা সম্পর্কে জানা আছে। তাই আসুন আমরা গান শুনে বা গান গেয়ে নয় কোরআন তেলাওয়াত শুনে জর্জরিত মনকে প্রশান্ত করি।
রেফারেন্স
১. আল মুজামুল আওসাত, তাবারানী:৪৫১৩,৬৮৩৯
২. সুরা লোকমান:০৬
৩. হিলয়াতুল আউলিয়া, ইমাম আবু নুয়াইম:৩/১১৯-১২০,মুরসাল
৪. আলমুহাল্লা,ইমাম ইবনু হাযাম :৯/৫৮
৫. সুরা রা’দ:২৮
৬. সহীহ আবূদাঊদ হা/ ৪৯২৪, সনদ সহীহ
৭. ঊপদেশ, হাদিস নং ৯৮
৮. বুখারী হা/৫৫৯০, আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৯৫
৯. ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০)। ঊপদেশ,হাদিস নং ৯৭
১০. বুখারী, ভলিউম ৭, বুক ৬৯,সংখ্যা ৪৯৪
১১. সূরা ইসরা : ৬৪
১২. জামে তিরমিযী হাদীস : ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীস : ২১৬৮
১৩. সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮
১৪. ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২
লেখক: যাইনাব বিনতে মুহাম্মাদ আলী