
নবী-রাসুল কাহিনিকে গুরুত্ব দেওয়া : নবী-রাসুলদের শরিয়ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাঁদের দ্বিন ও দাওয়াতের মূল হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রোকন। উল্লিখিত হাদিসে রাসুল (সা.) মুসা (আ.)-এর মুক্তি পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা আদায় করা : আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) ও বনি ইসরাঈলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) রোজা রাখাকে বৈধতা দিয়েছেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ কোনো নিয়ামত দান করলে বান্দার উচিত সে নিয়ামতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
শিরকের ভয়াবহতা : শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না। এই শিরকের কারণে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অত্যাচারীর পতন : বনি ইসরাঈলের ওপর ফেরাউনের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের বর্ণনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ ফেরাউনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বনি ইসরাঈলকে মুক্তি দেন। এ থেকে বোঝা যায়, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।
বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া : হাদিসে বলা হয়েছে, বড়রা মহররমের রোজা রাখত, ছোটদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করত। তাদের খেলনা দিয়ে রোজার কথা ভুলিয়ে রাখা হতো। এ থেকে বোঝা যায় ছোটদের খেলনা দেওয়া বৈধ।
ছোটদের রোজায় অভ্যস্ত করা : ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। অল্প বয়সে তাদের যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা তাদের মনে গেঁথে যাবে। এ জন্য তাদের ছোট থেকেই ইবাদতের প্রতি অভ্যস্ত করানো উচিত।
বিধর্মীদের অনুরসরণ না করা : আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৫৪)