১. রামাদান মাসের শুরুর পূর্বেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন ।
২. রামাদান মাসের শুরুতেই নিজেকে পরকালমুখী করার সর্বোচ্চ চেষ্টার নিয়্যাত করুন।
৩. নিজের সকল পাপের ক্ষমা ও এর পরিবর্তে পুণ্যের আশা করুন ।
৪. সবগুলো সিয়াম পালন করার দৃঢ় প্রত্যয় এবং এতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন।
৫. নিজ পরিবারের সুস্থ ও সাবালেগদের (সিয়াম পালনের সামর্থ্য রাখে এমন সকলকে) সিয়াম পালনে উৎসাহ এবং নির্দেশ দিন।
৬. সিয়াম অবস্হায় যে কোন পাপাচার (মিথ্যা, গীবাত, পরনিন্দা, নাচ, গান, অশ্লীলতা, হারাম উপার্জন) থেকে নিজেকে বিরত রাখুন এবং অন্য কেউ এমন করলে সামর্থ্য অনুযায়ী বাঁধা দিন।
৭. দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতসহ তারাবী সালাতের প্রতি যত্নবান হোন।
৮. নিজে সঠিকভাবে (খুশু সহকারে) সালাত আদায় করুন এবং অন্যকেও এই বিষয়ে শিক্ষা দিন।
১০. ভোর রাতে সেহরী খাওয়ার প্রতি সচেষ্ট হোন এবং অন্যদেরকেও স্মরণ করিয়ে দিন।
১১. যথাসময়ে ইফতার করুন এবং অন্যদেরকেও আমন্ত্রণ করুন।
১২. নিজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখুন এবং পরস্পরের প্রতি যত্নবান হোন।
১৩. প্রতিবেশীদের প্রতি যত্নবান হোন এবং তাদের কোন সমস্যা থাকলে, তা সমাধানে এগিয়ে আসুন।
১৪. পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিদের কাজে সাহায্য করুন।
১৫. পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা দিন এবং তাদেরকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
১৬. কোর’আন শুদ্ধ ভাবে পড়তে শিখুন এবং বেশি বেশি পড়ুন।
১৭. সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ দানশীল হয়ে উঠুন এবং নিজেকে রিয়া (লোক দেখানো আমল) থেকে মুক্ত রাখুন।
১৮. মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকার সৎসাহস গড়ে তুলুন এবং নিজের আমলের প্রতি যত্নবান হোন।
১৯. নিজ সম্পদের হিসাব করুন এবং দরিদ্রদের অধিকার (যাকাত) বুঝিয়ে দিন।
২০. সবসময় আল্লাহকে স্মরণ রাখুন, ভয় করুন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
◼️ রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমাযান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় ‘ইবাদাতে রাত কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদরে ‘ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (মিশকাত:১৯৫৮)
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দিন।