বিধবা ও এতিমের সহায়তা

বিধবা ও এতিমের সহায়তা

আমাদের সমাজে কোনো নারী স্বামীহারা হলে তার গঞ্জনা ও গ্লানির শেষ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর মৃত্যুর জন্য তাকেই দায়ী করা হয়। এমনকি তাকে ‘অপয়া’, ‘অলক্ষ্মী’ ইত্যাদি মনে করা হয়। এভাবে বিধবা নারীরা সমাজে ভীষণভাবে অবহেলিত ও বিপদগ্রস্ত।
ইসলাম বিধবা নারীদের অনেক অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করবে, তাদের স্ত্রীদের কর্তব্য হলো চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এরপর যখন ইদ্দত (চার মাস দশ দিন) পূর্ণ করে নেবে, তখন তারা নিজেদের ব্যাপারে বিধিমতো ব্যবস্থা নিলে তাতে কোন পাপ নেই। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবগত আছেন’ (সূরা বাকারা : ২৩৪)।
এছাড়া পিতৃহীন এতিম শিশুর দেখাশোনা করা, তার দায়িত্ব গ্রহণ করা, তাকে স্নেহমমতা দেয়া, তার প্রতি দয়া করা, তার সম্পদ রক্ষা করা ইত্যাদি ইসলামের দৃষ্টিতে বিশাল মর্যাদাপূর্ণ কাজ এবং জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, “আর এতিমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ করো। এতিমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা সচ্ছল তারা অবশ্যই এতিমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে।” (সূরা নিসা: ৬)